October 28, 2024, 12:20 pm
নিজেস্ব সংবাদদাতা – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মীকে আহত করায় ছাত্রলীগের এক নেতাসহ কয়েক কর্মীর বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মী , সাধারণ ছাত্র এবং শিক্ষকরা । জানা গেছে গত ৬-ই মার্চ ক্যাম্পাসে বসে বান্ধবীর সাথে লেখা-পড়া বুঝে নাবার সময় ; উপস্থিত হয় ঐ ছাত্রলীগ নেতা কানন এবং তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গরা । তারা বাদানুবাদের এক পর্যায়ে হামলা করে । জানা যায় কানন রা,বি ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ।
নাট্যকর্মীর কর্মরত সংগঠনটি প্রথমে প্রতিবাদ করলেও , রবিবার সেই ধারাবাহিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট একটি প্রতিবাদী কর্মসূচী ও মানবন্ধন পালন করে । ধারাবাহিক ভাবে কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন, নিম্নের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা । আহত কর্মীর সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন ফজলে হোসেন বাদশা (এমপি), গ্রুপ থিয়েটারের ফেডারেশনের কেন্দীয় নেতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু , বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান , অনুশীলন নাট্যদলের সভাপরি মলয় ভৈমিক , শাহ্ আজম শান্তুনু , বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না , গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সদস্য কামারুল্লাহ সরকার কামাল ও রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার প্রমূখ ।
জানা যায় , অনুশীলন নাট্যদলের কর্মী মইনুলের উপর এই হামলা সংগঠিত হয় । হামলাকারীরা তাদের ভাষায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী । তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান হয় ।
প্রসঙ্গত সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপড় এমন অপ্রত্যাশিত হামলা ছাত্রলীগ সহ অন্য সংগঠন দ্বারা মাঝে মধ্যেই সংগঠিত হয় । কিছুদিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহীর সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফের উপড়ও এমন হামলা হয়েছিল ।
এই ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ সাংস্কৃতিককর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দীন সেলিম এবং এইচ আর হাবিব এই ঘটনার নিন্দা জানান । তাদের অভিন্ন ভাষ্য , মারামারি হানাহানি কখনই কাম্য নয় । ঘটনার তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন ।